রিপন মিয়া, সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি : ২০ বছর আগে মৃত সৎ ভাই সুবন হিসেব নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে ফেসে গেলেন জীবিত নাহিদ হাসান। গণমাধ্যমে ভূয়া তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করে নিজেকে সুবন পরিচয় দিয়ে মৃত ভাইয়ের নামে লেখা জমি নিজের বলে দাবি করেন নাহিদ। এ নিয়ে বেশ কিছু ভূয়া কাগজ পত্রও তৈরি করেন তিনি। অবশেষে নিজের পাতানো জালে ফেঁসে যান।
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নে চর আটিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার (১৫ জুলাই) বিকেলে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তার প্রতারণার এ দায় স্বীকার করেন নাহিদ । নিজ হাতে লিখে দেন অঙ্গীকারনামা। অন্যের প্ররোচণায় নাম পরিবর্তন করে গনমাধ্যমকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় তার মা নাজমাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ চান্দহর ইউনিয়নের চর আটিপাড়া গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে গত রবিবার মিথ্যা তথ্য ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে স্হানীয় নারী ইউপি সদস্য রোজিনা বেগম থানায় লিখত অভিযোগ দায়ের করেন।লিখিত অভিযোগে প্রকাশ জাতীয় পরিচয় পত্র, স্কুল সাটিফিকেট ও জন্ম নিবন্ধনে তার নাস নাহিদ হলেও জালজালিয়াতির মাধ্যমে নিজেকে মৃত সৎ ভাই সুবন বেপারি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে নাহিদ তার জাতীয় পরিচয় পত্র এডিট করে সুবন বানিয়ে ওই কাগজ দেখিয়ে জন্ম নিবন্ধন বানিয়ে নেন।
৮নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার মো.আবুল কালাম আজাদ জানান, নাহিদের বাবা সিরাজ উদ্দিন তার প্রথম স্ত্রী মারা গেলে ছেলে সুবনের নামে ২৭ সতাংশ জমি লিখে দেন। প্রায় ২০ বছর আগে সে ছেলে মারা যায়। মৃত সুবনের ওই জমি আত্বসাতের জন্য সৎ ভাই নাহিদ হাসান এমন জালিয়াতির পথ বেছে নেয়।
এ ব্যপারে চান্দহর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.শওকত হোসেন বাদল বলেন, নাহিদ জালিয়াতির কথা স্বীকার করে অঙ্গীকারনামা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সে মৃত সুবন ব্যাপারীর সৎ ভাই। এ নিয়ে সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদের তীব্র নিন্দাও জানান তিনি।