রিপন মিয়া,সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের (এলজিইডি) সংস্কার কাজ চলছে নামে মাত্র। ৩টি প্যাকেজের ওই কাজ তদারকি করছেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহাবুল ইসলাম। তবে চলমান এ সংস্কার কাজ নিয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বক্তব্য মিল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, নয়- ছয়ভাবে করা এ কাজ নিয়ে উপজেলা পরিষদ পাড়ায় চলছে নানা সমালোচনা। সৃষ্টি হচ্ছে ধোঁয়াশার ।
জানা গেছে, বিশেষভাবে বরাদ্দকৃত ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এলজিইডি অফিসের প্লাস্টার, রং ও ডেকোরেশনের কাজ চলছে নামে মাত্র। কাজের অর্থ বরাদ্দ এক সাথে হলেও কৌশল গত কারণে জাতীয় দৈনিক কিংবা স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৩টি প্যাকেজে ভাগ করা হয়। টেন্ডারে মাইশা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ওই অফিসের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে নয় ছয়ভাবে এ কাজ শেষ করার চেষ্টা করছেন। এদিকে, উপজেলা কমপ্লেক্সের বহুতল ভবণ নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এ সময়ে পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজে এতো টাকা ব্যয় অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য অনেকের। এ কাজে সামান্য টাকা খরচ করে পুরো টাকাই লোপাট হতে চলছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
মাইশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী বাদল মিয়া বলেন, কাজটি তিনি টেন্ডারের মাধ্যমেই পেয়েছেন তবে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল কিনা তার জানা নেই। কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি জানান, প্লাস্টার ও রংয়ের কাজ শেষ হলেও আরো কিছু কাজ বাকি রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সংস্কার কাজের সুপারভিশন অফিসার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মহাবুল ইসলাম নয়-ছয়ভাবে কাজ করার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিশেষভাবে পাশ করা সংস্কার কাজ ৩টি প্যাকেজে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এ কাজ নিয়ে বিপরীত বক্তব্য দিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ১% এর ১০ লক্ষ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমেই অফিসের ডেকোরেশন ও রংয়ের কাজ চলছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম তার মনে নেই বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, আমার মতে এটা মন্ত্রনালয়ের সংস্কার ও মেরামতের রিকুয়েষ্ট ফর কোটেশনের কাজ। ১% এর কাজ উপজেলা পরিষদের করার সুযোগ নেই।