স্টাফ রিপোর্টার:
মানুষ মানুষের জন্য। একজনের প্রয়োজনে আরেকজন মানুষ লাগবে এটাই স্বাভাবিক। আর এমন স্বাভাবিক কার্যক্রম কিছু প্রতারকের জন্য প্রায় সময়ই প্রশ্নের সম্মুখীন হয় ও বিভিন্ন সমস্যা তৈরি হয়।
কেরানীগঞ্জ শিকারিটোলা পুকুরপাড়ের কুঞ্জলালের পুত্র হরেনাথ জনৈক এক ব্যক্তির সঙ্গে সু-সম্পর্ক এর ফাঁদ তৈরি করে বিভিন্ন ছলে বলে কৌশলে সে নিজের জন্য ও তার চক্র অন্যান্য প্রতারকদের জন্য টাকা গ্রহণ করে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। উল্লেখ্য, এর আগেও তার এক বন্ধু সঞ্জয় এর বিয়ের জন্য টাকা ধার নেই কিন্তু তা আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করলে, কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। যার প্রেক্ষিতে,আটি পুলিশ ফাঁড়ির মাধ্যমে ওই প্রতারক চক্র ক্ষমা চেয়ে তাদের গৃহীত টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়, যার নাটের গুরু এই প্রতারক হরেনাথই।
অন্যদিকে , কেরানীগঞ্জ শাক্তা ইউনিয়নের মুক্তার এর ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে জামান ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে ২৫ হাজার টাকা গ্রহণ করে, যা ৬ মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা থাকলেও সে তার কথা রক্ষা না করে বরং প্রতারক হরেনাথের সঙ্গে একট্টা হয়ে টাকা না দেওয়ার বিভিন্ন রকম পাঁয়তারা ও নানা রকম হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে । এই ধাপ্পাবাজ জামান নিজেকে স্থানীয় এক চেয়ারম্যানের আত্মীয় দাবি করে নানাজনকে নানা হুমকি প্রদান করছে। এছাড়া এই জামান ওই একই ব্যক্তির কাছ থেকে আরও টাকা ধার চাই বলেও জানা গেছে কিন্তু ওই ব্যক্তি তার প্রদত্ত ২৫ হাজার টাকা সময়মতো ফেরত না দেওয়াতে আর কোন টাকা বা তার ফাঁদে পা দেয়নি বলে জানা গেছে।
বিশ্বস্ত একসূত্রে জানা গেছে- এই জামান এর দুটো পাসপোর্ট রয়েছে , যা বাংলাদেশের আইনে অপরাধের শামিল।
এ সব ব্যাপারে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ মডেল থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- হরিনাথ ও জামান যোগ-সাজোগে প্রতারণার ফাঁদ পেতে জনৈক ওই ব্যক্তির নিকট থেকে বিভিন্নভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা গ্রহণ করে । যা এখন দিতে অসমর্থ জানিয়ে নানা রকম ফুন্দিফিকির অব্যাহত রেখেছে।
এ ব্যাপারে অত্র এলাকার সচেতন সমাজ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে বিষয়টি অবগত হলে তারা এই প্রতারকদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে জানান।