🔳জিনিয়া আফরোজ মৌ
ফকীর আব্দুল কাদের পেশায় একজন শিক্ষক । লাল সবুজের বাংলাদেশের রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার কছিমদ্দিন সরদার পাড়ায় ১০ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন।ধার্মিক এবং সামাজিক মর্যাদা সম্পন্ন, সম্ভ্রান্ত মুসলিম কৃষক পরিবারে তাঁর জন্ম।ফকীর আব্দুল কাদেরের আদি বাড়ি ৬ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়। তাঁর পিতা মৃত মৌলভী আমির উদ্দিন ফকীর এবং মাতা মরহুমা মাজেদা খাতুন। ৭ ভাই বোনের মধ্যে অধ্যক্ষ ফকীর আব্দুল কাদের তাঁর বাবা মায়ের পঞ্চম সন্তান।
ছোট থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হবার প্রবণতা তাঁর মাঝে লক্ষ্য করা যায়। তাই তিনি ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোয়ালন্দ থানার সদস্য পদ লাভের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোয়ালন্দ থানার সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়। ১৯৮২ সালে সামরিক শাসন আমলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজবাড়ী সরকারি কলেজ শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন,১৯৯৭ সালে গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যপদ লাভ করেন, ২০০০ সালে গোয়ালন্দ পৌরসভা ঘোষণা হওয়ার পর পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা কালীন সভাপতি নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য যে, গোয়ালন্দ পৌরসভার মানুষের দুঃখ-দূর্দশা দেখে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে ২০০২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথম বারের মতো গোয়ালন্দ পৌরসভা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছেন । এতে নির্বাচনে জনগন ব্যাপক সাড়া প্রদান করেন। তিনি ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ- গরীব, দুঃস্থ মানষের ঔষধপত্র ক্রয়, গরিব ছাত্র,ছাত্রীদের বই বিতরণ, গরিব পরিবারের মেয়েকে বিয়েতে আর্থিক সহায়তা, দুর্ঘটনার স্বীকার হওয়া গরিব মানুষকে সহায়তা ইত্যাদি কাজ তত্ত্বাবধান ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। এছাড়াও সাহিত্য চর্চা, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবতা মূলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন এবং
আওয়ামী লীগ আদর্শিক বিষয়বস্তু তুলে ধরা,আওয়ামী লীগের উপর সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরি, বিশেষ করে গোয়ালন্দ পৌরসভা আওয়ামী লীগকে জাগ্রত ও সুসংগঠিত করতে অনেকাংশে সফল অধ্যক্ষ ফকীর আব্দুল কাদের । তাঁর দৈনন্দিন জীবনের কাজ গুলোর মধ্যে অন্যায়ের প্রতিবাদ, সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা স্থাপন, মহল্লা থেকে সর্বত্রে হক দারের হক আদায় সহ অন্যান্য কল্যাণ মূলক কাজ গুলো দৃশ্যমান ।
অধ্যক্ষ ফকীর আব্দুল কাদের,
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতির প্রতি যে কর্মকান্ড, ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ এবং গণতন্ত্র স্থাপনের জন্য বিচারিক ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তাঁর চোখে আগামীর স্বপ্নে যে বিষয়গুলো প্রাধান্য পায় সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের মৌলিক অধিকার আদায়, অবহেলিত মসজিদ মাদরাসা এতিমখানা ও কোরআন হাফেজদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা।
সমাজের ঝরে পড়া ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অধ্যক্ষ ফকির আব্দুল কাদেরের নিরলস প্রচেষ্টায় গোয়ালন্দ উপজেলায় ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন । ১. গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুল (সাধারণ শাখা), গোয়ালন্দ আইডিয়াল হাই স্কুল ভোকেশনাল শাখা) ৩.এফ.কে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ ৪.এফ. কে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ কম্পিউটার বেসিক ট্রেনিং কোর্স (ছয় মাস মেয়াদী) ৫.এফ. কে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজ (বিএম) ৬.এফ. কে টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট মহিলা কলেজ(ভোকেশনাল) অপরিসীম ধৈর্য, অনুকরণীয় শৃঙ্খলা আর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তার এই ছয়টি প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের শুধু শিক্ষাই নয়, পাশাপাশি তাদের যোগ্য, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, কর্তব্যপরায়ণ, চরিত্রবান, আত্মনির্ভরশীল, বিনয়ী ও সৎসাহসী করে গড়ে তোলে। পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপশি শৃঙ্খলা, নিয়মানুবর্তিতা, শরীরচর্চা, ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপরে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে থাকে এই প্রতিষ্ঠান গুলোতে। এসব ছাত্র-ছাত্রীরা কম টাকায় লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তিনি নিজে গ্রামে ঘুরে ঝরে পড়া ছেলে-মেয়েদের খুঁজে বের করেন। তাদেরকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করে দেন তিনি।